নদীর চর দখল নিয়ে সংঘর্ষ , অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি : চলল গুলি - বোমা , জখম ৭

13th December 2020 9:33 am বর্ধমান
নদীর চর দখল নিয়ে সংঘর্ষ , অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি : চলল গুলি - বোমা , জখম ৭


প্রদীপ চট্টোপাধ‍্যায় ( বর্ধমান ) :  ভাগীরথী চরের দখলদারি নিয়ে দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষ ও বোমা-গুলির লড়াইয়ে জখম হলেন সাতজন । ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের নতুনগ্রামে । সংঘর্ষ চালাকালীন ছড়রা গুলির  আঘাতে স্থানীয় নারায়নপুর নিবাসী পৈরাগ ঘোষ ও সনাতন ঘোষ নামে দুই কৃষক  মারাত্মক জখম হন । তাঁদের উদ্ধার করে প্রথম নিয়েযাওয়া হয় গ্রামেরই প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রে। পরে দু’জনকেই কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এই ঘটনার জেরে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে নতুনগ্রাম । পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে । পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কেতুগ্রামে ভাগীরথী নদীর এক পাড়ে রয়েছে  নতুনগ্রাম ।অন্যপাড়ে রয়েছে নারায়ণপুর।  একসময়ে নদীভাঙনে  নারায়ণপুর গ্রামের   অনেকের জমি ও ভিটে নদী গর্ভে চলে যায় । তারই মধ্যে বছর দুই আগে ভাগীরথী  দিক পরিবর্তন করায় নারায়ণপুর গ্রামের দিকে চর জেগে উঠে। নারায়ণপুরের  বেশ কিছু বাসিন্দা ওই নদীর চরে  চাষবাস শুরু করেদেন।তা নিয়ে এলাকার অপর একদল বাসিন্দাদের সঙ্গে তাঁদের বিবাদ তৈরি হয় । এদিনও তাঁরা সেখানে যখন চাষের কাজ করছিলেন তখন ওইসব লোকজন সেখানে হাজির হয় । বচসা চলতে চলতেই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায় ।  জখম পৈরাগ ঘোষ বলেন, “এদিন সকাল  এলাকারই কয়েকজন চরে পৌছে তাঁদের চাষের কাজে বাধাদেয় । তা নিয়ে বচসা চলাকালীন ওই ব্যক্তিরা তাঁদের মারধোর করতে শুরু করে । পৈরাগ বাবু বলেন , তাঁরা রুখে দাঁড়ালে আচমকাই ওই ব্যক্তিরা গুলি চালানোর পাশাপাশি তাঁদের লক্ষকরে বোমা ছুঁড়তে শুরু করে । গুলির আঘাতে তিনি ও সনাতন ঘোষ নামে আরও একজন গ্রামবাসী জখম হয়েছেন । ”যদিও নারায়নপুর গ্রামের  অপর  গোষ্ঠীর সুখেন ঘোষ জানিয়েছেন,
“চরের  ওই জমি তাঁদের । সেই জমি সংক্রান্থ নথিপত্র তাঁদের রয়েছে । তা সত্ত্বেও নতুনগ্রামের কিছু বাসিন্দা  জোরপূর্বক তাঁদের জমি দখল করে নিতে চাইছে। এদিন তারা বাধা দিলে ওই ব্যক্তিরা গুলি বোমা নিয়ে তাঁদের উপর হামলা চালায় ।তাতে তাঁদের কয়েকজন জখম হয়েছেন । ”কেতুগ্রাম থানার পুলিশ জানিয়েছে , ঘটনা নিয়ে কোন পক্ষ এখনও থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি।  তবে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।